,

নবীগঞ্জে ঈদ বাজারের শেষ সময়ে জমজমাট কেনাকাটা

ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়

মোঃ সুমন আলী খান ॥ আগামীকাল শনিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর। তাই শেষ মুহূর্তে পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করার জন্য সবাই এখন ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত রয়েছেন। সবাই পছন্দের পোশাক পরে ঈদের আনন্দ করার জন্য এদিক ওদিক ঘুরে কেনাকাটা করছেন। নবীগঞ্জের প্রতিটি কাপড়ের ফ্যাশন সপ, বিপনীবিতান এবং কসমেটিক্স দোকানগুলো এখন ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড়ে মুখরিত। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এখন ঈদ কেনাকাটায় ব্যস্ত। সরজমিন বিপনীবিতানগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, শহরের অন্যান্য বিপনী বিতানগুলোতে এখন প্রতিদিন গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের ভীড় থাকে। বিপনী বিতানের পাশাপাশি পোষাক তৈরির জন্য টেইলার্স দোকানগুলোতেও ভিড় দেখা গেছে। আর মাত্র কয়েকদিন বাকি ঈদের। তাই শেষ মুহূর্তে নবীগঞ্জের সর্বত্র ক্রেতাদের কেনাকাটায় ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই ব্যস্ত। গোল্ডেন প্লাজার লাবনী এক্সক্লসিভ ফ্যাশন ওয়্যার এর পরিচালক শাহ শামীম আলম জানান, ঈদকে সামনে রেখে গত বছরের তুলনায় ভালোই বিক্রি হচ্ছে। তরুণীদের আনরেডি থ্রি-পিস ও পুরুষদের শার্ট-প্যান্ট বিক্রি হচ্ছে বেশি। তবে নবীগঞ্জে ঘন ঘন বিদ্যুৎ লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবসায় কিছু ব্যাঘাত ঘটছে। কসমেটিক সামগ্রীর দোকান পপি ভ্যারাইটিজ সেন্টারের পরিচালক প্রমথ চক্রবর্তী বেনু জানান, এ বছরের ঈদে বাজারে তরুণীদের প্রথম পছন্দ সিটি গোল্ডের গলার হাড়, হাতের চুড়ি এবং প্রসাধন সামগ্রী হিসেবে মেহেদী বিক্রি হচ্ছে বেশি। ইদের বেচাকেনাতে আমি খুশি। নবীগঞ্জ বাজারে ঈদের মার্কেটে আসা স্কুল শিক্ষিকা শামিমা বেগম জানান, জরজেট শাড়ি ও আনরেডি থ্রি-পিস পছন্দের তালিকায় থাকলেও দাম বেশি হওয়ায় বাজেটে কতটুকু পোষাবে তা চিন্তা করছি। নুরানী মার্কেটের ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম জানান, গত বছরের তুলনায় বেচাবিক্রি ভালো। আমাদের নুরানী মার্কেটে নিন্মবৃত্ত, মধ্যবৃত্তসহ সব শ্রেণির লোকজনের পোশাক সুলভ মূল্যে পাওয়া যায় তাই ক্রেতার উপস্থিতি আশানুরূপ ভালো। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র  রুনেদ আহমদ জানান, ঢাকা-সিলেটের মতো নবীগঞ্জেও এখন চাহিদামতো পোশাক পাওয়া যায়। দাম একটু বেশি হলে ও এ বছর ১ হাজার ৫শ টাকা দিয়ে শার্ট ২ হাজার ৩ শ টাকা দিয়ে প্যান্ট কিনেছি। নবীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে পড়–য়া ছাত্রী মৌ আক্তার বলেন, বছর ঘুরে আবার ঈদ আসায় খুশি মনে কেনাকাটা করছি। জিনিসপত্রের দাম একটু বেশি হলেও নবীগঞ্জে পছন্দমতো জিনিস ক্রয় করতে পেরে ভালো লাগছে। শহরের মধ্যবাজারে শপিং মলগুলোতে উচ্চবিত্তের ক্রেতাদের ভিড় থাকলে শহরের নুরানী মার্কেটে নিম্ন মধ্যবিত্তের ক্রেতাদের ভিড় লক্ষণীয় বেশি। দাম অনেকাংশে কমে পাওয়া যায় বলে সেখানে সারাদিনই নিম্ন আয়ের মানুষের সমাগম বেশি। নবীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী বলেন, শহরের মধ্যবাজারে শপিংমলগুলোতে এবার ক্রেতারা সাচ্ছন্দে কেনাকাটা করতে পারছেন। নবীগঞ্জ বাজারের পরিবেশ ভালো সুষ্ঠু পরিবেশ থাকায় ক্রেতাদের অধিকাংশই অন্য শহরে না গিয়ে নবীগঞ্জে তাদের কেনাকাটায় স্বস্থিবোধ করছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর